আর্কাইভ | ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল আউয়াল ১৪৪৬ ০১:০৯:৫৭ অপরাহ্ন
Photo
স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা, প্রকাশিতঃ
১৭ জানুয়ারী ২০২৩
০৬:২২:৪০ পূর্বাহ্ন
আপডেটঃ
১৭ জানুয়ারী ২০২৩
০৬:৫৪:৫৭ পূর্বাহ্ন

দগ্ধ ৫ জনের কাউকে বাঁচানো গেল না


ঢাকার ধামরাইয়ের এক বাড়িতে রান্নাঘরে গ্যাস জমে বিস্ফোরণের ঘটনায় চারজনের মৃত্যুর পর ওই পরিবারের দগ্ধ শেষ সদস্যও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকালে হোসনে আরা (২৮) নামে ওই নারীর মৃত্যু হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

হোসনে আরা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি ছিলেন। এই নারীর শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি ভোরে ধামরাইয়ের কুমড়াইল এলাকার কবরস্থান সংলগ্ন দোতলা বাড়ির নিচতলায় পোশাককর্মী মনজুরুল ইসলামের (৩২) ঘরে বিস্ফোরণ হয়। এতে মনজুরুল ছাড়াও তার স্ত্রী জোসনা বেগম (২৫), তাদের দেড় বছরের মেয়ে মরিয়ম, জোসনার বড় বোন হোসনে আরা ও ভাগ্নি সাদিয়া আক্তার (১৮) দগ্ধ হন। 

আহত সবাইকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল। ঘটনার পরদিন ৮ জানুয়ারি রাতে চিকিৎসাধীন শিশু মরিয়মের মৃত্যু হয়। এর দুদিন পর ১০ জানুয়ারি ভোরে মারা যান মরিয়মের মা জোসনা। সেদিনই দুপুরে মারা যান জোসনার বোনের মেয়ে সাদিয়া আক্তার। পরদিন পোশাককর্মী মনজুরুলেরও মৃত্যু হয়। আর সবশেষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন হোসনে আরা।

ঘটনার দিন আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সুফিয়ান নামের একজন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জোসনা ভোরে রান্নাঘরে গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলেই বিস্ফোরণ ঘটে, তখন ঘরে আগুন ধরে সেখানে থাকা অন্যরাও দগ্ধ হন। মনজুরের ঘরে সিলিন্ডারের গ্যাস দিয়ে রান্না হত। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছিল, সিলিন্ডার থেকে চুলার পাইপে কোথাও লিকেজ ছিল, ফলে রাতভর গ্যাস জমে ছিল রান্নাঘরে। ভোরে জোসনা চুলা ধরাতে আগুন জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে।