ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও মেধাবি কলেজ ছাত্র মুশফিক হাসান নিলয়কে (১৭) একটি হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে এইচ এসসি পরীক্ষার্থী এই মেধাবি ছাত্রটি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর পরিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জে স্থানীয় কিশোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে রোজার ঈদের দু'দিন পরে মির্জাগঞ্জ দরবারে মারামারিকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৮ জুন রাতে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থী আতাউল্লাহর ওপর ৪ থেকে ৫ জন হামলা চালায়। আহত আতাউল্লাহকে সুবিদখালি হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দিয়ে রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়। কিন্তু এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রহস্যজনক ভাবে নিরাপরাধ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ৪-৫ জন উপস্থিত থাকলেও আসামি করা হয়েছে ২৮ জনকে। এরমধ্যে অনেকেই ওই ঘটনায় জড়িত নয়। অভিযোগ রয়েছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে অনেক নিরপরাধ শিক্ষার্থীকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) মুশফিক হাসান নিলয়ের মা' মাকসুদা জানান, তার ছেলে সুবিদখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী হলেও সে বসবাস করে ঢাকায়। শুধু পরীক্ষার সময় কলেজে গিয়ে পরীক্ষা ও জাতীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। সে ঈদুল আযহা উপলক্ষে গত ২৮ জুন সকাল সাড়ে দশটায় সুবিখখালীতে আসে এবং বেলা তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে ছৈলাবুনিয়া নামক স্থানে মটরবাইক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়।
এরপর তাকে সুবিদখালি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত নয়টার দিকে তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া হয়। অথচ আহত নিলয়কেও সে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
আতাউল্লাহর উপর হামলাকারী পাঁচজন অথচ আসামি করা হয়েছে ২৮ জনকে; বিষয়টি রহস্যজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মধ্যে তার ছেলেসহ নিরপরধ আসামিদের জন্য ন্যায় বিচার দাবি করেন।