আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার কখনোই আদালতে হস্তক্ষেপ করে না। আদালতে মামলা চলছে, আদালত স্বাধীনভাবে তাদের সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ থেকে শুনেছি- হাইকোর্টে যে জামিন দেওয়া হয়েছিল সেখানে কিছু আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। সেজন্য তিনি আপিল বিভাগে গেছেন।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের জামিন স্থগিতের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিচারককে গালিগালাজের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। প্রধান বিচারপতির কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ এবং অন্যান্য বিচারকরা অভিযোগ করেছেন। একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন। সেখানে দেখা গেছে একজন বিচারকের প্রতি তাদের আচরণ খারাপ ছিল- সেটা আমি শুনেছি। সেটির প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। এখন এটি বিচারাধীন ব্যাপার, আদালত বিচার করবেন।
এ সময় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম এবং আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক এবং জেলা জজ আদালতের প্রধান নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন আইনজীবীরা। এর ফলে বন্ধ রয়েছে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম।
সম্প্রতি আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে মামলা জমা দিতে গেলে মামলা না নিয়ে বিচারক আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় আদালত বর্জনের কর্মসূচি দিলে আদালতের কর্মচারীরা পাল্টা আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিচারকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এনে কর্মবিরিত কর্মসূচি পালন করেন।