আর্কাইভ | ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬ ০৩:৩৬:১৩ পূর্বাহ্ন
Photo
স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা
ঢাকা, প্রকাশিতঃ
৩০ অক্টোবর ২০২৪
০৮:৩৪:৫৩ পূর্বাহ্ন

আমি নিজেও বেকার ছিলাম, আবার বেকার হয়ে যাবো


বেকারত্বকে দেশের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমি নিজেও বেকার ছিলাম, আবার বেকার হয়ে যাবো এই দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর।


বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।


আসিফ মাহমুদ বলেন, বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্যই আমাদের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কাজ করে থাকে। আমরা ট্রেনিং দিয়ে থাকি। ফ্রিল্যান্সার থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ট্রেনিং আছে।


তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্যমাত্রা নিচ্ছি- ট্রেনিং হতে হবে কর্মমুখী। যাতে ট্রেনিং দিয়ে আমরা একজনকে ছেড়ে না দিই। সামনের দিকে আরও কর্মসূচি হাতে নেবো, কোন কর্মে কী ধরনের স্কিল প্রয়োজন, সে ধরনের ট্রেনিং দিয়ে কর্ম নিশ্চিত করবো।


সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে এখনও অনেক পদ খালি আছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কর্মসংস্থানের জন্য আবেদন করি। মালয়েশিয়া এবং ইতালির একটা প্রসেস আছে। সরকারিভাবে আমরা আগামী দুই বছরে অন্তত ৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরির একটা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ৯ লাখ যুবকদের প্রশিক্ষণ দেবো। সেখানে ৬০ শতাংশ নারী।


দেশে ২৬ লাখের বেশি গ্রাজ্যুয়েট বেকারসহ সব মিলিয়ে এক কোটি ৮০ লাখ বেকার আছেন জানিয়ে আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বেকারত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। আমরা একটা সমন্বিত উদ্যোগ নেবো বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য। সুসংবাদ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যারা আমাদের সহযোগিতা করতে চাচ্ছে তাদেরও একটা অগ্রাধিকারের জায়গা বেকারত্ব। সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা অ্যাড্রেস করবো।

পুতুলকে এড়িয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে কাজ করতে চাইছে সরকার

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে এড়িয়ে সরাসরি সংস্থাটির সাথে কাজ করতে চায় সরকার এবং সে জন্য সংস্থাটিকে চিঠি দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

“বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একজন আঞ্চলিক পরিচালক নিয়োগ করে। আগে তার সাথে লিয়াঁজো মেইনটেইন করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। বাংলাদেশ সরকার চাইছে যে যাতে তার সাথে লিয়াজো না করে সরাসরি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে কথা বলা যায় কি না,” প্রেস ব্রিফিংয়ে বলছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

তিনি বলেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল পতিত স্বৈরাচারী সরকারের পরিবারের সদস্য তিনি এবং তিনি এখন বাংলাদেশের সহায়তায় কতটুকু আসবেন সেটাই প্রশ্নবোধক বলে মনে করেন তারা। এক প্রশ্নের জবাবে ওই সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন এটি একটি নৈতিকতার ইস্যু।

“ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম এবং কিছু অপরাধে তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন। তার অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। বিএফআইইউ তদন্ত করছে। তার মাধ্যমে কাজ করার প্রশ্নই উঠে না,” বলছিলেন তিনি।

তিনি বলেন তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে সরাসরি কাজ করতে চান এবং সংস্থাটিকে বলেছেন যে এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয় সেটা যেন সরকারকে দ্রুত জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বর্তমান পরিচালক এবং এ অঞ্চলের আঞ্চলিক অফিস ভারতের নয়াদিল্লিতে।