হাসিনাসহ কয়েকজনের তদন্ত প্রতিবেদন চলতি মাসেই 
আর্কাইভ | ঢাকা, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ১১ রমজান ১৪৪৬ ০১:৪৭:৩১ পূর্বাহ্ন
Photo
এখন বাংলা ডেস্ক
ঢাকা, প্রকাশিতঃ
০১ মার্চ ২০২৫
০৭:৫১:৫১ পূর্বাহ্ন
আপডেটঃ
০১ মার্চ ২০২৫
০৭:৫৫:৫২ পূর্বাহ্ন

হাসিনাসহ কয়েকজনের তদন্ত প্রতিবেদন চলতি মাসেই 


জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চলতি মার্চ মাসেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হবে। শনিবার সিলেটে এক অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই কথা জানান। এদিন তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক কর্মশালায় যোগ দেন। 

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আগস্টে সারাদেশে বেশ কয়েকটি বিশেষ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এ মাসেই ট্রাইব্যুনালে জমা পড়বে। এই রিপোর্টগুলো জমা পড়লে আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই হাসিনার বিচার শুরু হবে। শেখ হাসিনা পলাতক থাকায় বিচার কীভাবে হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে চেষ্টা করা হচ্ছে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে। যদি ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা অসম্ভব হয় সেক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে যে প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে সেটার মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। তাও যদি সম্ভব না হয় তাকে পলাতক ধরে বিচার করা হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, এই ট্রাইবুন্যালকে বিতর্কিত করার জন্য পরাজিত দোসরা নানাভাবে চেষ্টা করবে, এটা নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করবে। সেগুলো কাউন্টার করাই আমাদের দ্বিতীয় পর্বের চ্যালেঞ্জ। সর্বপরি আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এটা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং অপরাধীদের শাস্তিটা নিশ্চিত করা। অহেতুক বিলম্ব করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা যাতে নষ্ট না হয় সেদিকেও নজর রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিস্তৃত কাজকে সমন্বয় করে নিখুঁত তদন্ত এবং ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কের বাইরে রেখে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। দিনব্যাপী এই কর্মশালায় শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামানসহ বিচার বিভাগ, সিলেট বিভাগের পুলিশ, প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তিনিসহ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি এবং শীর্ষ সারির নেতাদের বিরুদ্ধে জুলাই-গণহত্যার অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা হয়েছেঅ। বিভিন্ন ভুক্তভোগীর পরিবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে, যেগুলোর তদন্ত করছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।