সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দুটি দেশের মুদ্রা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ১২টি দেশের মুদ্রা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। নৌপথে পালানোর সময় তল্লাশি করে এসব মুদ্রাসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে মুদ্রাগুলো জব্দ করা হয়। আনিসুল হক ও সালমান রহমানকে আদালতে তুরে রিমান্ড আবেদনে এসব তথ্য জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক মো. সজীব মিয়া।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার মামলায় আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মো. সজিব মিয়া তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সালমান এফ রহমানের কাছে থেকে ১২ হাজার ৬২৪ ইউএস ডলার, ৬২০ সুইস ফ্রাংক, সাড়ে ৮ হাজার দিরহাম, ১৩ লাখ উজবেকিস্তানি সোম, ১১ হাজার ৬৫০ রিয়াল, ৭৭৯ সিঙ্গাপুরের ডলার, দেড়শো ব্রিটিশ পাউন্ড, ১ হাজার ৩২১ ইউরো, ৫০ হাজার টাকা, ৬ হাজার ২৩০ ভুটানি গুলট্রাম, এক হাজার ভারতীয় রূপি, ৩ হাজার ৩২০ থাইল্যান্ডের বাথ মুদ্রা জব্দ করা রয়েছে।
পাশাপাশি তার কাছে থেকে সবুজ রঙ্গের পাঁচটি ও কূটনৈতিক একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।
এছাড়া আনিসুল হকের কাছ থেকে ১৭ হাজার ৫১২ ইউএস ডলার, ৭২৬ সিঙ্গাপুরের ডলার এবং ৩টি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, গতকাল মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পালানোর সময় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৬ জুলাই কোটা আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে তার মা আয়শা বেগম মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার দেখানো হয়।