আ.লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতের
আর্কাইভ | ঢাকা, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ শাবান ১৪৪৬ ১১:৩২:৫০ পূর্বাহ্ন
Photo
স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা, প্রকাশিতঃ
১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
০৭:৪৩:২১ পূর্বাহ্ন

আ.লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতের


জাতিসংঘের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের দীর্ঘ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো তথ্য-প্রমাণসহ উঠে এসেছে। 

হাসিনার পরিকল্পনা ও নির্দেশে তার আজ্ঞাবাহী বাহিনীর সদস্যরা গুম-খুনে ও নির্যাতনে নৃশংসতার সব সীমা ছাড়িয়েছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন, ৫ মে ও ২৪-এর গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। তা না হলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এদেশের সরকার ও জনগণকে একদণ্ডও শান্তিতে থাকতে দেবে না। 

আওয়ামী লীগ একের পর এক স্যাবোট্যাজ ঘটিয়ে ছাত্রনেতৃত্ব ও তৌহিদি জনতাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কালচারাল ঘরানার ফ্যাসিবাদপন্থী আওয়ামী লোকজন আবারও মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষগুলোর মধ্যে তারা বিভেদ-বিভক্তি ছড়িয়ে দিতে তৎপর।

ভারত এখনও শত্রুরাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম আরও জানায়, হাসিনা-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে এখনও তারা মেনে নিতে পারছে না। বরং তাদের আশ্রয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে একের পর এক ষড়যন্ত্র করার সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে। তাই গুম-খুন ও গণহত্যার দায়ে হাসিনার বিচারকাজ তরান্বিত করতে হবে। 

সেইসঙ্গে বিভিন্ন বাহিনীতে তার অনুগত চিহ্নিত দোসরদেরও দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তাহলেই গণ-অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব সুরক্ষিত হবে।