আর্কাইভ | ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউস সানি ১৪৪৬ ১০:২৫:২৫ অপরাহ্ন
Photo
এখন বাংলা ডেস্ক
ঢাকা, প্রকাশিতঃ
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
০৭:৩৩:৪৪ পূর্বাহ্ন

বিদ্রোহীদের বাড়ি দখল করতে দেখে সিরিয়া ছাড়েন  আসাদ  


দীর্ঘ ২৪ বছর সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। গেল ৮ ডিসেম্বর প্রাণ বাঁচাতে সিরিয়া থেকে পালিয়ে যান তিনি। এর মাধ্যমে ভেঙে যায় তার এবং তার পরিবারের পাঁচ দশকের ক্ষমতার চক্র। বিদ্রোহীরা তার বাড়ি দখল করে দেখে, সেদিন তিনি তাড়াহুড়ো করে পালিয়েছেন। রান্না করা খাবার চুলায় রয়ে গেছে এবং ব্যক্তিগত অ্যালবামগুলো সেখানেই পড়ে আছে।

সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের শেষ দিন কেমন ছিল, পালানোর আগে ঠিক কী কী করেছিলেন দীর্ঘ সময়ের এই স্বৈরশাসক, তা নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।


প্রতিবেদনে বলা হয়, বাশার আল আসাদ পতনের সময় সিরিয়া ছাড়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রায় কাউকেই জানাননি। তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী, কর্মকর্তারা, এমনকি আত্মীয়রাও এ বিষয়ে অন্ধকারে ছিলেন। রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেছেন, আসাদ ঘনিষ্ঠ এমন ১২ জনের মতে, আসাদ তার পরিকল্পনা গোপন রাখতে বড় ধরনের প্রতারণা ও ফাঁকির আশ্রয় নিয়েছিলেন।

দেশ ছাড়ার আগের দিন শনিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রায় ৩০ জন সামরিক এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তার একটি বৈঠকে আসাদ বলেন, রুশ সামরিক সহায়তা আসছে। পদাতিক বাহিনীকে সাহস রেখে প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর নিজেই জীবন বাঁচাতে রাশিয়ায় পালিয়ে যান।

রয়টার্স জানায়, পালিয়ে যাওয়ার কয়ে ঘণ্টা আগে নিজ কার্যালয়ের ম্যানেজারকে কাজ শেষে বাসায় ফেরার কথা জানালেও আসলে তিনি বিমানবন্দরে চলে যান। তার মিডিয়া উপদেষ্টা বুতাইনা শাবানকে বাড়িতে ডেকে বক্তৃতা লেখার কথা বলেন। শাবান সেখানে পৌঁছে তাকে না পেয়ে হতভম্ব হন।

পরাজয় আসন্ন, এটা বুঝতে পেরেও ইরানকে সামরিক হস্তক্ষেপের অনুরোধ করেননি আসাদ। তার আশঙ্কা ছিল, এতে ইসরায়েল তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে। আর, মস্কোর পক্ষ থেকেও সামরিক হস্তক্ষেপের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হয়।

রয়টার্স বলছে, আসাদ প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় চেয়েছিলেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার ভয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে আবুধাবি। পরে তার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন পুতিন। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ কাতারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে চুক্তি করে আসাদকে মস্কোতে পৌঁছানোর সুযোগ করে দেন।

আসাদের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল জালালি জানান, পালানোর রাতেও আসাদ পরিস্থিতি নিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করেছিলেন। আগের রাতেও শেষ ফোনালাপে তিনি বলেছিলেন, ‘আগামীকাল দেখা যাবে’।