তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজিব তাইয়েব এরদোয়ান বলেছেন: ইসরাইল কোনো সরকার কিংবা হুকুমাত নয় বরং একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, এরদোয়ান লেবাননে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী পেজার বিস্ফোরণের কথা উল্লেখ করে বলেন: লেবাননের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর আগ্রাসন প্রমাণ করে তারা এ অঞ্চলে যুদ্ধের প্রসার ঘটাতে চায়।
শনিবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, লেবানন জাতিকে হত্যা করার ক্ষেত্রে ইসরাইলের যোগাযোগ সরঞ্জামের ব্যবহার প্রমাণ করে এই সরকার একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো আচরণ করছে।
গত মঙ্গল ও বুধবার লেবাননে পেজার এবং কিছু ইলেকট্রনিক যোগাযোগ ডিভাইস বিস্ফোরণ ঘটে। ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় সংঘটিত ওই সন্ত্রাসী অভিযানে কমপক্ষে ৩৭ জন লেবাননের নাগরিক নিহত হয়ে এবং ৩ হাজারেরও বেশি আহত হয়।
এরদোয়ান আরও বলেন: ইসরাইল ফিলিস্তিনিদেরকে বোমা, রকেট ইত্যাদির পাশাপাশি অনাহার ও ক্ষুধা তৃষ্ণা চাপিয়ে দিয়েও হত্যা করছে।
তিনি বলেন: এ অঞ্চল যাতে যুদ্ধের মহা বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত না হয় সেজন্য ইসরাইলের ওপর সব রকমের চাপ প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। তিনি আরো বলেন: গাজা উপত্যকার ব্যাপারে বিশ্বের দেশগুলো এবং জাতিসংঘের গুরুদায়িত্ব রয়েছে।
ইহুদিবাদী বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় বিক্ষোভকারীদের স্লোগান
ইউরোপের জনগণ নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলি অপরাধের নিন্দা জানিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে। পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, ইউরোপীয় বিক্ষোভকারীরা, ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বিক্ষোভকারীরা বিচিত্র লেখা সমৃদ্ধ ব্যানার হাতে নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে। ওইসব ব্যানারে লেখা ছিল: গণহত্যা বন্ধ করো, গাজায় শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে ইত্যাদি।
সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা টুনবার্গ ওই বিক্ষোভের অবকাশে সাংবাদিকদের বলেছেন: গণহত্যা দেখেও নীরব থাকার মানে খুনিদের সঙ্গে হাত মেলানো। আমাদের উচিত ইসরাইলি কোম্পানিগুলোকে বয়কট করা এবং তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।
ইতালির রাজধানী রোমেও সেদেশের বিক্ষোভকারীরা ইতালি সরকারের ইহুদিবাদীদের সমর্থনের নীতির সমালোচনা করে। বিক্ষোভ চলাকালে তারা বলে: স্বাধীন ফিলিস্তিন সেদেশের জনগণের একটি অধিকার।
শনিবার লিভারপুল শহরে লেবার পার্টির বার্ষিক সম্মেলনের অবকাশে ফিলিস্তিনের সমর্থনে হাজার হাজার ব্রিটিশ নাগরিক বিক্ষোভ করেছে।
বিক্ষোভকারীরা গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলিদের পাশবিকতা ও বর্বর অপরাধের নিন্দা জানায়। একইসঙ্গে তারা ইসরাইলকে ব্রিটিশ সরকারের অস্ত্র সহযোগিতা বন্ধেরও দাবি জানায়।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি দেশ ইসরাইলি আধিপত্যবাদের বিলুপ্তি চায় এবং ইহুদিরা তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাক-এই মতকে সমর্থন করে।