আর্কাইভ | ঢাকা, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২, ৫ মহররম ১৪৪৭ ০১:১৩:০৩ অপরাহ্ন
Photo
স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা, প্রকাশিতঃ
০১ জুলাই ২০২৫
০৮:৫৩:৪৮ পূর্বাহ্ন
আপডেটঃ
০১ জুলাই ২০২৫
০৮:৫৪:১২ পূর্বাহ্ন

রাতের ভোট নিয়ে যা বললেন  নুরুল হুদা


রাষ্ট্রদ্রোহ ও অন্যায় প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার মামলায় গ্রেপ্তার থাকা সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।


মঙ্গলবার (১ জুলাই) এ মামলায় দুই দফায় ৮ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

এ সময় তিনি স্বেচ্ছায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে তদন্ত কর্মকর্তা তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।


আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আসামি করে গত ২২ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করে বিএনপি।


মামলা হওয়ার পর ওইদিন রাতেই বিক্ষুব্ধ জনতা উত্তরার বাসা থেকে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে আটক করে হেনস্তা করে। তারা নুরুল হুদার ওপর চড়াও হয়। বাসায় ঢুকে অপদস্থ করে। কেউ কেউ ফেইসবুকে লাইভ করে। পরদিন ২৩ জুন তাকে বিএনপির করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। 

গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।  

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই তিন নির্বাচনে গায়েবি মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আসামিরা এসব অপরাধ করেছেন।