আর্কাইভ | ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ৫ জিলহজ্ব ১৪৪৬ ১২:৪২:৫১ অপরাহ্ন
Photo
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
ঢাকা, প্রকাশিতঃ
২৩ মে ২০২৫
০৮:৩১:৩৮ পূর্বাহ্ন
আপডেটঃ
২৩ মে ২০২৫
০৮:৩২:০৬ পূর্বাহ্ন

অবশেষে গাজায় প্রবেশ করেছে ১০৭টি ত্রাণবাহী ট্রাক


টানা ১১ সপ্তাহ অবরোধের পর অবশেষে গাজায় প্রবেশ করেছে মানবিক সহায়তা। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাঠানো ১০৭টি ত্রাণবাহী ট্রাক ২২ মে দক্ষিণ-পূর্ব কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে গাজা উপত্যকায় ঢুকেছে।


শুক্রবার গাজার প্রবেশপথ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ইসরাইলি সংস্থা ‘কোগাট’-এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। তবে এই ত্রাণ গাজার অসহায় অনাহারক্লিষ্ট ফিলিস্তিনিদের কাছে পৌঁছেছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত করেনি জাতিসংঘ।

কোগাটের বক্তব্য, ‘আমরা গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছাতে সহায়তা করে যাব। তবে চেষ্টা করব যেন এই ত্রাণ হামাসের হাতে না পড়ে’। ইসরাইল হামাসের বিরুদ্ধে ত্রাণ চুরির অভিযোগ আনলেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি ‘ভিত্তিহীন’ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এদিকে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কর্মকর্তা আঁতোয়ান রেনার্ড বিবিসিকে বলেন, প্রতিদিন ১০০টি ট্রাক শুধু গাজার বাসিন্দাদের খাবারের ন্যূনতম চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজন।

তবে বিবিসির সংবাদদাতা জেরেমি বোয়েনের মতে, ‘২০ লাখের বেশি গাজাবাসীর জন্য এই ত্রাণ মোট চাহিদার তুলনায় একফোঁটা পানির সমান’।

গাজায় যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতিদিন প্রায় ৫০০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করত। যার মধ্যে থাকত খাবার, ওষুধ, শিশু খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হলে এই সংখ্যা অনেক কমে যায়। 

এখন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার মতে, গাজার মানবিক সংকট মোকাবিলায় প্রতিদিন অন্তত ৬০০টি ট্রাক প্রয়োজন।

অথচ চলতি বছরে মার্চের শুরু থেকে সব ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। এতে রীতিমত দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হয় গাজাবাসী। মানবিক সংস্থাগুলো বারবার সতর্ক করে বলছে, গাজার ২১ লাখ মানুষ মারাত্মক খাদ্য সংকটের মুখে রয়েছে।

জাতিসংঘ-সমর্থিত সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেইজ ক্লাসিফিকেশন বলেছে, সামনের মাসে পাঁচ লাখ মানুষ ‘চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায়’ পড়বে। অপুষ্টির মাত্রা এমন হবে যে, এতে শুশু মৃত্যু ও ক্ষুধামৃত্যুর হার বেড়ে যাবে। সূত্র: বিবিসি