আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে রাজপথ ছাড়ব না ছাড়ার হুঁশিয়ারি 
আর্কাইভ | ঢাকা, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ শাবান ১৪৪৬ ১০:৪৭:০৬ অপরাহ্ন
Photo
স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা, প্রকাশিতঃ
১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
০৫:০৫:২৪ পূর্বাহ্ন
আপডেটঃ
১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
০৬:৩৯:৩৬ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে রাজপথ ছাড়ব না ছাড়ার হুঁশিয়ারি 


নেতাকর্মীদের বিচার ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ না হলে রাজপথ ছাড়বো না বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত মোহাম্মদ হাসানের জানাজা শেষে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
 
হান্নান মাসউদ বলেন, একদিকে অনেক শহীদ পরিবারের স্বজনরা প্রিয় জনের মরদেহ পর্যন্ত খুঁজে পাচ্ছে না। আরেকদিকে একটি গোষ্ঠী ও দল রাজনৈতিক স্বার্থে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা শুরু করেছে।

তিনি বলেন, গণহত্যায় আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা আন্তর্জাতিকভাবেও প্রমাণিত হয়েছে। তাই নেতাকর্মীদের বিচার ও দলটি নিষিদ্ধ না হলে রাজপথ ছাড়ব না।


পরে গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তার পরিবারের সদস্যরা।

উল্লেখ্য, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গে রাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত অজ্ঞাত সাতজনের মধ্যে একজনের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় মিলেছে মো. হাসানের (১৯)। তিনি রাজধানীর কাপ্তান বাজারের একটি ইলেকট্রিক দোকানের কর্মচারী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএনএ পরীক্ষায় এ তথ্য পাওয়া যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মুনসুর।


এখনও জুলাই আন্দোলনে নিহত এক নারীসহ ছয়জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে অজ্ঞাত হিসেবে পড়ে আছে।

জুলাই বিপ্লবের পর থেকে নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে হাসানের পরিবারসহ দুইটি পরিবার ঢামেক মর্গে আসে। হাসানের পরিবারের সদস্যরা এক মরদেহের দাবি করেন। মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করতে পরিবারের পক্ষ থেকে ডিএনএ নমুনা দেওয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে। 

ঢামেক মর্গ সূত্র জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসানের পরিবার আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেছেন। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তারা মরদেহ দাফনের জন্য নিয়ে যাবেন। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি সকালে হাসানের পরিবার ঢামেক মর্গে এসে মরদেহটি শনাক্তের চেষ্টা করেছিল।  

ওসি খালিদ মুনসুর জানান, ঢামেক মর্গে থাকা সাতটি মরদেহের মধ্যে ছয়টি এখনও অজ্ঞাত রয়েছে। তবে আরেকটি মরদেহ যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ দেখছে। নিহত হাসানের মরদেহ যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। 

হাসানের চাচা নুরে আলম জানান, ফেসবুকে ছবি দেখে মনে হয়েছিল, এটাই হাসান। তার ভাতিজা মো. হাসান (১৯) গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।  

হাসানের গ্রামের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার বাগচির গ্রামে। বাবা মনির হোসেন একজন কৃষক। মা গোলেনুর বেগম গৃহিণী। পরিবারসহ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সুতি খালপাড় বালুর মাঠ এলাকায় বসবাস করতেন হাসান।  

হাসানের চাচা বলেন, আমরা ফেসবুকে একটি ছেলের ছবি দেখেছিলাম, যার পায়ে তার প্যাঁচানো ছিল। মুখে হালকা দাড়ি, পায়জামা-পাঞ্জাবি পরা। তখনই আমাদের মনে হয়েছিল, সে আমাদের হাসান। আজ সেটাই সত্য হলো।