আর্কাইভ | ঢাকা, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জামাদিউস সানি ১৪৪৬ ১০:৫২:১৯ অপরাহ্ন
Photo
স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা, প্রকাশিতঃ
১৫ অক্টোবর ২০২৪
০৬:৩৭:৩২ পূর্বাহ্ন

পতিত সরকারের দুই মন্ত্রী শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে : ড. কলিম উল্লাহ


প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেছেন, মানুষের কোন ক্ষমতা নাই আল্লাহর আইন, আল্লাহর বিধানে হাত দেয়ার। কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর আইন আল্লাহর বিধান জারি থাকবে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর লালমাটিয়ায়  মসজিদ সমাজ বাংলাদেশের কর্তৃক আয়োজিত “ইসলামী সুখী-সুন্দর সমাজ গঠনে মসজিদের ভূমিকা এবং বিশ্বব্যাপী ইসলামী অর্থনীতি সম্প্রসারণে মুসলিমদের করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, আইয়ূব খানের সরকার মুসলিম বিবাহ আইন ও উত্তরাধিকার আইন পরিবর্তন করেছিল। পতিত স্বৈরাচারী সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপুমনি এবং মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দিপুমনি ও তার পরিবার মেঘনার পাড় দখল করে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আফ্রিকার সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর দারুস সালাম ইউভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আসিফ এস মিজান বলেন- আফ্রিকা অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি দেশ। এই মহাদেশটি হতে পারে ইসলাম প্রচারের একটি উর্বর ক্ষেত্র। ইসলামী অর্থনীতি সম্প্রসারণে আফ্রিকার দেশগুলোতে ইসলামী ব্যাংকিং ও বিভিন্ন ধরণের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আফ্রিকার অর্থনীতিকেই পাল্টে দিবে। 

মসজিদ সমাজ বাংলাদেশ এর সভাপতি এবং আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক পরিচালক মুহাম্মদ নওয়াব আলী ভূঁইয়া তার স্বাগত বক্তব্যে মসজিদ সমাজের ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বর্ণনা করেন। তিনি বিশেষ করে ২ লক্ষ মসজিদে মক্তব প্রতিষ্ঠা, ইমামদের প্রশিক্ষণ, মাদকাসক্তদের জন্য নিরাময় কেন্দ্র, ২ লক্ষ পথশিশুদের লালন পালন এবং ইসলামী ব্যাংক অব জাম্বিয়ার কার্যক্রম চালুর বিষয়ে পরিকল্পনা পেশ করেন।  তিনি সোমালিয়ার দারুস সালাম ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর এর কাছে আফ্রিকা অঞ্চলে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা ও কর্পোরেট ব্যবসা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি বেকার যুবককে নিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে সুখী-সুন্দর সমাজ গঠনের সার্বিক সহযোগীতা বিশেষভাবে কামনা করেন।  

বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও বিখ্যাত দাঈ মুফতি জুবায়ের আহমেদ দেশের মসজিদগুলোতে খ্রিস্টানদের তৎপরতার বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, দেশের মসজিদগুলোতে আরও বেশি পরিকল্পিতভাবে ইসলামের কাজ করতে হবে। মসজিদ ভিত্তিক দাওয়াতী কাজের মাধ্যমে অমুসলিমদের নিকট দাওয়াতের ক্ষেত্র বাড়াতে হবে। 

এছাড়াও প্রোগ্রামে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, বেফাকের পরিদর্শক মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ আইম্মা পরিষদের মহাসচিব মাওলানা এনামুল হক মুসা, বিখ্যাত ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব শাহ নেওয়াজ কাজল, ড্রিমার্স ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার আনিসুর রহমান, প্রফেসর পারভেজ মিয়ান, অতিথি ডটকমের আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা মসজিদ সমাজ বাংলাদেশ এর কার্যক্রমকে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও আলোচকগণ ইসলামী সুখী-সুন্দর সমাজ গঠনে মসজিদ ভিত্তিক কাজের বিকল্প নাই বলে মন্তব্য করে বলেন, নিজ নিজ জায়গা থেকে আমরা প্রত্যেকেই মসজিদ সমাজ বাংলাদেশকে সার্বিক সহযোগীতা করব।