আর্কাইভ | ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬ ০৩:৪১:২৯ অপরাহ্ন
Photo
স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা, প্রকাশিতঃ
১৯ জুন ২০২৪
০৪:১৯:২৬ পূর্বাহ্ন

আমরা আঙুল চুষব না, বললেন ওবায়দুল কাদের 


মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যদি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন করে, তবে বাংলাদেশ বসে বসে আঙুল চুষবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

(বুধবার) সকালে সচিবালয়ে সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

সেন্ট মার্টিন ইস্যুতে সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে বলে বিএনপি যে অভিযোগ করেছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, "বিরোধীদলের একটা ভাষা আছে সরকারি দলের সিদ্ধান্তকে তারা নতজানু আখ্যায়িত করে। কিন্তু কীভাবে নতজানু, সেটা একটু ব্যাখ্যা করে দিক না। সেন্ট মার্টিনে যে গুলিটা এসেছে, সেটা মিয়ানমার সরকার করেনি। এটা আরকান আর্মি নামে যে বিদ্রোহীরা আছে, তাদের গুলি।"

তিনি বলেন, "যেকোনো উস্কানির মুখে বাংলাদেশ যুদ্ধে না জড়িয়ে আলাপ-আলোচনায় সমাধানে বিশ্বাসী। সেখানে যে জাহাজের কথা বলা হয়, সে জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার উস্কানি দিলে আমরা তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করবো। একটা সমাধান বের করবো। যুদ্ধে জড়াব না।"

ওবায়দুল কাদের বলেন, "বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যদি যুদ্ধে জড়াতে চান, তাহলে উস্কানির ফাঁদে আমরা পড়তে পারি? আমরা সরকারে আছি, আমাদের দায়িত্ব আছে, কর্তব্য আছে। সার্বভৌমত্ব চলে গেলে আমাদেরই ব্যথা লাগবে বেশি। কারণ, এ জাতির মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকার লড়াইয়ে আমরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফখরুল তখন (মুক্তিযুদ্ধের সময়) কী করেছেন, কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, তা জানি না। এসব কথা বলে লাভ নেই। সার্বভৌমত্ব ঠিক আছে। সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হলে, আলাপ-আলোচনার সময় পেরিয়ে যদি যায়, যদি সত্যিই তারা আক্রমণে আসে, তখন কী আমরা বসে থাকব, আমরা বসে বসে আঙুল চুষবো? আমাদেরও পাল্টা জবাব দিতে হবে।"

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, "আমরা এখনও কোনো আক্রমণ দেখিনি। তাদের (মিয়ানমার) অভ্যন্তরীণ ৫৪টি গোষ্ঠী আছে। ওদের অভ্যন্তরীণ অনেক সমস্যা। আমরা সীমান্তে আছি, গুলি এসে লাগতে পারে, গুলির আওয়াজ আসতে পারে, এটা সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। তাদের নৃতাত্ত্বিক বিদ্রোহীরা আছে। তাদের থেকেই এসব ঘটনা ঘটছে। সেটার জন্য কেন মিয়ানমার সরকারকে দায় দেব? যতদিন সম্ভব শেষ পর্যন্ত আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে চেষ্টা করব।"

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলনে, ‘পুরো বিশ্বই এখন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সব দেশের রাজনীতি এখন কঠিন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় বিদেশি ফান্ডিং কমে এসেছে। আমাদের এখন শ্যাম ও কুল দুটিই রক্ষা করে চলতে হচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড়ে দেরি করছে। এটা আমাদের ভোগাচ্ছে। পুরো বিশ্বই এখন অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়েছে। সবাই ব্যয় সংকোচন করছে। সারা বিশ্বই এখন রণক্ষেত্র। বড়বড় দেশগুলো বিশ্বযুদ্ধের মহড়া দিচ্ছে। আমরাও এর শিকার হচ্ছি।’