হামাসের সশস্ত্র শাখার মুখপাত্র আবু ওবাইদা এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা রাফা ও গাজার অন্যান্য এলাকায় স্থল আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখবে। আগ্রাসন যতদিনই স্থায়ী এবং এর রূপ যা-ই হোক না কেন। এদিকে গাজায় মানবিক সাহায্যপণ্য ফুরিয়ে আসছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ)।
হামাসের মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করতে পূর্ণ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা শত্রুর বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। যে যুদ্ধ তাদেরকে খাদে টেনে নিয়ে যাবে, যেখানে তারা সৈন্যদের মৃত্যু আর অফিসাররা বন্দি হওয়া ছাড়া কিছুই পাবে না।’
আবু ওবাইদা বলেন, ‘এটা এজন্য নয় যে, আমরা বিরাট শক্তি, বরং আমরা এই ভূখণ্ডের মানুষ এবং ন্যায্য মালিক।’
হামাসের এই মুখপাত্র বলেন, ‘হামাস ট্যাংক, সামরিক যান এবং বুলডোজারসহ শতাধিক ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। পাশাপাশি সুড়ঙ্গ উড়িয়ে দিয়ে, রকেট ও মর্টার নিক্ষেপ, স্নাইপিং (দূর থেকে গুলি চালিয়ে) এবং কাছাকাছি যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরায়েলি সৈন্যদের হতাহত করা হচ্ছে।’
এদিকে, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ) সতর্ক করেছে, গাজায় বিতরণ করার জন্য প্রায় সব কিছুই শেষ। সংস্থাটি এক্স পোস্টে জানায়, পানি ও স্যানিটেশন পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। সরবরাহ করা সাহায্যপণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় লোকেরা স্যানিটেশনের প্রয়োজনগুলো সমাধানে কেবল ধ্বংসস্তূপ ও বর্জ্য ব্যবহার করতে পারেন।
মিসরের সঙ্গে সীমান্তের প্রধান রাফা ক্রসিং ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গত ৮ মে থেকে পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে গাজায় থাকা স্বল্প মানবিক সাহায্য পণ্য ইতোমধ্যে প্রায় ফুরিয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড় ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে। এখনও তাদের হাতে ১৩০ জন জিম্মি আটক রয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের। ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে, যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় অন্তত ৩৫ হাজার ৮০৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আহত হয়েছেন ৮৪ হাজার ৩১১ জন। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।