টঙ্গীর তুরাগ তীরে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে আলমি শুরার (মাওলানা জোবায়ের পন্থী) বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। শুক্রবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ইজতেমা শুরু হয়।
প্রত্যাশার অতিরিক্ত মুসল্লি ময়দানের সমবেত হওয়ায় কোথাও যেন তিল ধারণে ঠাঁই নেই। যেদিকে চোখ যায় শুধু টুপি-পাঞ্জাবি পরা মানুষ আর মানুষ। আজ ময়দানে সর্বকালের সর্ববৃহৎ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে ইজতেমা আয়োজক কমিটির প্রত্যাশা। দুপুর ১টায় আযান হবে। আর জুমার জামাত হবে দেড়টায়।
জুমার জামাতের ইমামতি করবেন কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমেদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ব ইজতেমার গণমাধ্যম সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম।
ইজতেমা ময়দানে আমবয়ান মূলত উর্দু ভাষায় করা হয়ে থাকে। এ বয়ান তাৎক্ষণিক ময়দানে অবস্থানরত বিভিন্ন ভাষাভাষী মুসল্লিদের বোঝার সুবিধার্থে বাংলাসহ অন্যান্য ভাষায় তরজমা (অনুবাদ) করে শুনানো হয়।
আজ যারা বয়ান করছেন- বাদ ফজর আমবয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। সকাল ৯টার দিকে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে খুসুসী বয়ান করেন ডা. সানাউল্লাহ, হাসমত আলী, আনিসুর রহমান। সমবেত বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উদ্দেশে বয়ান করেন মাওলানা ডা. নওশাদ, মুফতি মাহফুজ ও মাওলানা আকবর শরীফ।
খাওয়াসের বয়ান করেন মাওলানা ওয়াহিদ ও শওকত আলী। বাদ জুমা বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইসমাঈল গোদরা, বাদ আসর বয়ান করবেন হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমেদ, বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আহমেদ লাট। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করবেন স্বাগতিক বাংলাদেশের মাওলানা ওমর ফারুক।
আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে প্রথমপর্বের (মাওলানা জোবায়ের পন্থী) বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। মাঝে ৪দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের অনুসারী (ওয়াসিফুল ইসলামপন্থী) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয়পর্বে অংশ নেবেন। ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমার পরিসমাপ্তি ঘটবে।