রাজধানী ঢাকাও সারা দেশের মতো শীতে কাঁপছে । এতে বিপাকে পড়েছে সব শ্রেণিপেশার মানুষ। গতকাল শনিবার (৭ জানুয়ারি) এখানে সূর্যের দেখা মেলেনি, ছিল শীতল বাতাস। যদিও রোববার উঁকি দিয়েছে সূর্য। তবে, কমেনি শীতের তীব্রতা। নগরবাসী বলছে, টানা কয়েকদিন ধরে চলা এমন তীব্র শীত অনেকদিন পর সহ্য করতে হচ্ছে।
শনিবার রাজধানীর তাপমাত্রা নেমে আসে সাড়ে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা আজ একটু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশিমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গতকাল সারা দিন সূর্যের দেখা না মিললেও আজ বেলা ১২টার পর থেকে রাজধানীর আকাশে দেখা মেলে সূর্যের। কিন্তু, শীতের অনুভূতি কমেনি এতটুকু। এদিন আজ রোববার যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন সাত দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড।
রাজধানীতে বসবাস করেন আব্দুল হালিম। তিনি বলছিলেন, ‘এমন শীতের আবহাওয়া আমি ঢাকায় এক যুগেও দেখিনি। সব সময় ভেবে এসেছি, ঢাকায় কখনো বেশি শীত পড়বে না। কিন্তু, সে ধারনা এবার ভেঙে গেছে।’
নাজমুল হুদা নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলছিলেন, ‘এবার শীতের শুরুতে একদিন মা বলছিলেন লেপ পাঠিয়ে দেওয়ার কথা। আমি হেসে হেসে মাকে বলেছিলাম, তুমি কি পাগল হয়ে গেছ? ঢাকায় একটা কাঁথা গায়ে দিলেও ফ্যান চালাতে হয় শীতের সময়। লেপ দিয়ে কী করব? অথচ, আজ আমার মনে হচ্ছে, এবার ঢাকায় লেপেরই দরকার ছিল।’
এদিকে, শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অধিপ্তর বলছে, সারা দেশে শৈত্যপ্রবাহ আরও বাড়বে। অন্যদিকে, হাসপাতালে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কয়েকদিন ধরে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসার পাশাপাশি উত্তরের হাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। রোববারও দেশের অন্তত ২১ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন চলবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি, ১১-১২ জানুয়ারির দিকে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে আসবে।’