অদম্য ইচ্ছা আর সাহস থাকলে যে কোন কাজে জয়ী হওয়া যায়। তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মীর আরিফুল ইসলাম। তিনি ঢাকার একটি কারখানা থেকে মাত্র পাঁচ মাস প্রশিক্ষণ নিয়ে কেশবপুর শহরে গড়ে তুলেছেন পাখির খাঁচা তৈরীর কারখানা। তার এ কারখানায় তৈরী খাঁচার ব্যাপক চাহিদা থাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
জানা গেছে, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের আলতাপোল গ্রামের মৃত মীর ফজলে করিমের ছেলে মীর আরিফুল ইসলাম অর্থাভাবে ৮ম শ্রেনীর পর আর লেখাপড়া করতে পারেননি। অবশেষে কয়েক বছর আগে সংসারের অভাব ঘোচাতে ঢাকায় গিয়ে বিভিন্ন কারখানায় কাজ করতে থাকেন। কিন্তু এতে তাঁর সংসারে সচ্ছলতা আসে না। এক পর্যায়ে রাজধানীর মোহম্মাদপুর এলাকার একটি পাখির খাঁচা তৈরীর কারখানা থেকে মাত্র পাঁচ মাসে কাজ শিখে গত দুই মাস পূর্বে কেশবপুর শহরের থানার মোড়ে হাজী রুহুল আমিন মার্কেটে গড়ে তুলেছেন পাখির খাঁচা তৈরীর কারখানা। এ কারখানায় আরো ৪ জন কর্মচারী প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খাঁচা তৈরী করতে ব্যাস্ত থাকেন। তারা দিনে ছোট বড় ৫০ থেকে ৬০ পিচ খাঁচা তৈরী করেন। এ খাচাঁগুলি কেশবপুর উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন বাজারের হার্ডওয়ারের দোকানে পাইকারী বিক্রি করা হয়। কারখানার প্রধান মিস্ত্রি সাগর হোসেন জানান, তাদের কারখানায় তৈরী খাঁচার ব্যাপক চাহিদা থাকায় সকাল ৮টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খাঁচা তৈরী করতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন তারা।
অপর কর্মচারী নাসিম রেজা বলেন, আমাদের কারখানায় তৈরী খাঁচার গুনগত মান ভাল ও দাম কম থাকায় বড় বড় হার্ডওয়ারের দোকানদাররা কারখানায় এসে এ খাঁচা কিনে নিয়ে যায়। কারখানার মালিক আরিফুল ইসলাম বলেন, গত দুই মাস পূর্বে দেড় লক্ষ টাকা অগ্রিম দিয়ে ৩ হাজার টাকা ভাড়ায় শহরের প্রাণ কেন্দ্র থানার মোড়ে হাজী রুহুল আমিন মার্কেটে দুটি রুম নিয়ে গড়ে তুলেছেন পাখির খাঁচা তৈরীর কারখানা। এ কারখানায় তিনিসহ আরো ৪ জন কর্মচারী মিলে প্রতিদিন ছোট বড় ৫০ থেকে ৬০ পিচ খাঁচা তৈরী করেন। খাঁচাগুলি কেশবপুর উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন বাজারে হার্ডওয়ারের দোকানে পাইকারী বিক্রয় করা হয়।
প্রভাতী নিউজ / জি এস