আর্কাইভ | ঢাকা, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৭ জামাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ ০৯:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন
Photo
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
ঢাকা, প্রকাশিতঃ
০৪ নভেম্বর ২০২৫
০৮:৩৫:৪১ পূর্বাহ্ন

যা করলে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক হবে ইরানের


ইসরায়েলকে সমর্থন বন্ধ না করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনোভাবেই সহযোগিতা করবে না ইরান। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
 

সোমবার (৩ নভেম্বর) তেহরানে এক ছাত্রসমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে খামেনি বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি ইসরায়েলি শাসনকে সমর্থন করা বন্ধ করে, এখানকার সামরিক ঘাঁটি গুটিয়ে নেয় এবং মধ্যপ্রাচ্যে হস্তক্ষেপ বন্ধ করে, তাহলে সহযোগিতা নিয়ে ভাবা যেতে পারে।” খবর দিয়েছে টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ঔদ্ধত্যপূর্ণ স্বভাব আত্মসমর্পণ ছাড়া অন্য কিছুই মেনে নেয় না।”
১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর যুক্তরাষ্ট্রের তেহরান দূতাবাস দখলের বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সে সময় পশ্চিমা সমর্থিত তৎকালীন শাসক শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল।

চলতি বছরের জুনে ইসরায়েল ইরানের ওপর নজিরবিহীন বিমান হামলা চালায়, যার পর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রও অল্প সময়ের জন্য ওই সংঘাতে অংশ নেয় এবং ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে ইরানে ৯৩৫ জন ও ইসরায়েলে ২৪ জন নিহত হন।

পরে ইরান পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়, যার ফলে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার পারমাণবিক আলোচনা ভেস্তে যায়। যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় ২৪ জুন দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

খামেনি বলেন, “যদি একটি দেশ যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং শত্রুরা বুঝতে পারে যে তাদের আক্রমণে লাভ নয়, বরং ক্ষতি হবে, তাহলে সেই দেশ নিরাপদ থাকবে।”

২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে গিয়ে দেশটির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর থেকে ইরান কঠোর অর্থনৈতিক চাপে রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির উদ্যোগে জাতিসংঘের ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হয়।

এদিকে, গত রোববার আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, তেহরান এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী, তবে তা কেবল পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েই হবে। ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা নিয়ে কোনো আলোচনায় রাজি নয় তারা।

তিনি আরও বলেন, যখন যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক স্বার্থ ও সমমর্যাদার ভিত্তিতে আলোচনায় প্রস্তুত হবে, তখনই আমরা আলোচনায় ফিরব। তাদের যেমন তাড়া নেই, আমাদেরও তাড়াহুড়ো নেই।