আর্কাইভ | ঢাকা, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩ সফর ১৪৪৭ ১১:১৬:০৬ অপরাহ্ন
Photo
স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা, প্রকাশিতঃ
২৩ জুলাই ২০২৫
০৯:২১:৩৭ পূর্বাহ্ন

সন্তানের দাঁতে মিলবে বাবার পরিচয়!


রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর হিমঘরে পড়ে থাকা ছয়টি মরদেহ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। অগ্নিদগ্ধ মরদেহগুলো এতটাই পুড়ে গেছে যে স্বাভাবিক গঠন, মুখমণ্ডল বা পোশাকের কোনো চিহ্নই অবশিষ্ট নেই। এমন পরিস্থিতিতে তদন্তকারী সংস্থা ও চিকিৎসকেরা লাশ শনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ (DNA) টেস্টের ওপরই সম্পূর্ণ ভরসা রাখছেন।


চিকিৎসকরা বলছেন, অগ্নিদগ্ধ মরদেহে সাধারণত আঙুলের ছাপ থাকে না এবং চেহারা বিকৃত হয়ে যায়। তবে দাঁত তুলনামূলকভাবে আগুনে বেশি টিকে থাকে। এর কারণ হলো দাঁতের বাইরের স্তরে থাকা এনামেল মানবদেহের সবচেয়ে শক্ত উপাদান। ফলে অনেক সময় দাঁতের অভ্যন্তরে থাকা পাল্প টিস্যুতে জীবিত কোষের ডিএনএ রক্ষা পায়, যা শনাক্তকরণে সহায়ক হয়ে ওঠে।

তবে, যদি কোনো লাশের দাঁত অতিরিক্ত পুড়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায় বা ডেন্টাল স্যাম্পল নেওয়ার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে লাশের হাড়ের ভেতরের অংশ—অর্থাৎ বোন ম্যারো থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করা হবে। এরই মধ্যে মরদেহের সম্ভাব্য স্বজনদের কাছ থেকে চুলের গোড়া, নখ বা গালের ভেতরের কোষ (বুকাল সেল) সংগ্রহ করে অভিভাবক-সন্তান ডিএনএ মিলন পদ্ধতিতে শনাক্তের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।


স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, এখনো পর্যন্ত অজ্ঞাত ছয়টি মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত কিছু ডিএনএ নমুনা দেওয়া হয়েছে। আরও যারা নিখোঁজ রয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি অনুরোধ— সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে গিয়ে নমুনা দিন। তা হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডিএনএ মিলিয়ে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হবে।