গাজায় পুনর্গঠন সামগ্রী আটকে রেখেছে ইসরাইল
আর্কাইভ | ঢাকা, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ শাবান ১৪৪৬ ০৭:১৯:৩৬ অপরাহ্ন
Photo
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
ঢাকা, প্রকাশিতঃ
১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
১১:৪৯:১৯ পূর্বাহ্ন
আপডেটঃ
১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
০৭:০৩:১৩ পূর্বাহ্ন

গাজায় পুনর্গঠন সামগ্রী আটকে রেখেছে ইসরাইল


ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকায় মোবাইল হোম (কারাভান) ও ভারী নির্মাণ সরঞ্জাম প্রবেশে বাধা দিয়েছেন, যদিও যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী এসব সামগ্রী প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ইসরাইলের পাবলিক ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন কান এ তথ্য জানিয়েছে।  


সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরাইলের অনুমতির অপেক্ষায় গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজে ব্যবহারের জন্য পাঠানো বুলডোজার, রোড রোলার এবং কারাভানবাহী ট্রাকগুলো দুই সপ্তাহ ধরে রাফাহ সীমান্তে আটকে রয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ৬০,০০০ অস্থায়ী ঘর ও ২,০০,০০০ তাঁবু প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা ছিল, যা ১ মার্চের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। একইসঙ্গে ধ্বংসাবশেষ সরানোর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ সরঞ্জাম প্রবেশের অনুমতি দেওয়ারও কথা ছিল।  

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস ইসরাইলের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।  


‘এটি স্পষ্টভাবে চুক্তি লঙ্ঘনের ইঙ্গিত,’ টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়। তারা মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রতি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত দখলদার ইসরাইল তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।’ 

গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় এবং ইসরাইল-হামাস বন্দি বিনিময় শুরু হয়। তিনটি ধাপে ৪২ দিন করে চুক্তিটি পরিচালিত হচ্ছে।  

যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ ও অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির শর্ত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, নেতানিয়াহু চান, ইসরাইলি আলোচকরা যুক্তি দিক যে প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোই হামাসের স্বার্থের অনুকূলে।  

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় ৪৮,২৩৯ জন নিহত হয়েছে।

জিম্মি বিনিময়ের দ্বিতীয় ধাপে বাধা দিচ্ছেন নেতানিয়াহু!

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরাইল-হামাস জিম্মি বিনিময় চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়ন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেছেন একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা।  ইসরাইলি গণমাধ্যম ইয়ানেটকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই কর্মকর্তা জানান, নেতানিয়াহু রাজনৈতিক স্বার্থে জিম্মিদের জীবনের বিনিময়ে কৌশল অবলম্বন করছেন।  


তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য জিম্মিদের জীবন নিয়ে খেলছে নেতানিয়াহুর প্রশাসন।  প্রতিবার মনে হয় এর চেয়ে নিচে নামা সম্ভব নয়, কিন্তু তারপর দেখা যায়, আরও নিচে নামার পথ এখনো বাকি রয়েছে।  

এই কর্মকর্তা আরও জানান, চুক্তি অনুযায়ী ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল।  কিন্তু নেতানিয়াহুর পক্ষ থেকে কোনো আলোচনা শুরু করা হয়নি, যা চুক্তির শর্ত ভঙ্গের শামিল।  

তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি ইসরাইল এখনই দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করেও, তাতেও ২ মার্চের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে না, কারণ সময় অত্যন্ত কম।