রাজধানীর ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন- মো. মঞ্জু (৪০), সাইফুল ইসলাম (৪০), মো. রাসেল (২৮), মো. জাহিদ (২৪), মো. জাকির প্রকাশ তৌহিদ (৪০), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৩), মো. হিরা শেখ (৩৫), মো. রফিক (৩৫), মো. বাধন (৩০), চাঁন মিয়া (৫৪), বেল্লাল চাকলাদার (৪৫) ও মো. আসলাম খাঁন (৪৫)। গ্রেফতার বেলাল চাকলাদার মতিঝিল ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি ও উত্তরা পশ্চিম থানায় আরেকটি হত্যা মামলা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির আড়ালে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত।
গত শনিবার থেকে রোববার পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৯০০ কেজি সয়াবিন তেল, পরিত্যক্ত দুটি ট্রাক ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম। তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জের একটি কারখানায় ৩০ লাখ টাকার সয়াবিন তেল ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে ডাকাত দলের সদস্যরা। ডাকাতির সঙ্গে যুবলীগের এক নেতা জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ডিসি মাসুদ আলম বলেন, গত ২ ও ২২ জানুয়ারি ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর এলাকায় দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। একটি ট্রাকে ৭৫ ড্রাম আরেকটি ট্রাকে ৬০ ড্রাম সয়াবিন তেল ছিল। চট্টগ্রাম থেকে সয়াবিন তেল বোঝাই করে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার পথে ঢাকায় এই দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দুটি ডাকাতির ঘটনার ধরন একই রকম। তিনি আরও বলেন, সাদা মাইক্রোবাস দিয়ে ট্রাক দুটির গতিরোধ করা হয়। পরে ডিবি পরিচয়ে ট্রাকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডাকাতি করা হয়। এসময় তাদের সঙ্গে লেজার লাইট, ওয়াকিটকি ছিল।
ডাকাতির পর একটি ট্রাক নিয়ে যাওয়া হয় মুন্সিগঞ্জ এলাকায়, অন্যটি নেওয়া হয় পূর্বাচল এলাকায়। ডাকাতির পর ট্রাকের চালকদের রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম আরও বলেন, গ্রেফতার জাকির প্রকাশ তৌহিদ ডাকাত দলের প্রধান। তার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতার অন্যদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।