ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্য়িা টুডে জানিয়েছে, মঙ্গলবার একটি সৎসঙ্গে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী-শিশু রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ১০৭ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে গণমাধ্যমটি।
হাথরসের রতিভানপুরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিলো । অনুষ্ঠান শেষ হতেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ওই অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী জমায়েত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে। পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিংহ জানিয়েছেন হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিলো। সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতদের মধ্যে অন্তত ২৩ জন নারী, তিন শিশু রয়েছে। কেন এবং কী ভাবে এই ঘটনা ঘটলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাটির খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন আগ্রা পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি। ঘটনার খবর পেয়ে মুঘলাগড়ি গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধরী এবং সন্দীপ সিংহ। রাজ্য পুলিশের ডিজিও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, শিশু এবং মহিলাসহ ১৫ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সিকন্দরারাউ হাসপাতালে আহতদের নিয়ে গেলেও সেখানে চিকিৎসা করার মতো পর্যাপ্ত চিকিৎসক ছিলেন না। হাসপাতালে এক জন চিকিৎসক ছিলেন। চিকিৎসার গাফিলতিরও অভিযোগ তুলেছেন তারা। তাদের অভিযোগ, ঘটনার পর দেড় ঘণ্টা কেটে গেলেও প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যাননি। পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।