আর্কাইভ | ঢাকা, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৬ ১২:০৫:০৮ অপরাহ্ন
Photo
বিশেষ প্রতিবেদক
ঢাকা, প্রকাশিতঃ
১৪ মার্চ ২০২৫
০৯:৩৭:২৪ পূর্বাহ্ন
আপডেটঃ
১৫ মার্চ ২০২৫
০৯:৩১:৩৭ পূর্বাহ্ন

এতদিন অসীম দুর্নীতি চলেছে: প্রধান উপদেষ্টা


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এতদিন ধরে অসীম দুর্নীতি চলেছে। যাদের সুবিধা পাওয়ার কথা তাদের না দিয়ে নিজেদের পছন্দের লোকজনকে দিয়ে দিয়েছে, টাকা-পয়সারও লেনদেন হয়েছে। কিন্তু যাদের ন্যায্য পাওনা ছিল তারা পায়নি।

তিনি বলেন, এ ভুল আর করা যাবে না। যাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি হতে না পারে সেজন্য প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে। তত্ত্বাবধান ঠিকমতো হতে হবে, কার কী দায়িত্ব পরিষ্কার হতে হবে।

১৪ মার্চ (শুক্রবার) কক্সবাজারের খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুর্নবাসন প্রকল্প পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।

তিনি প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়, প্রকল্পের ঘর কাদেরকে দেওয়া হয়েছে, কী প্রক্রিয়ায় দেওয়া হয়েছে সেসব বিষয়ে জানতে চান।


এছাড়া তালিকা করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং দায়িত্ব বণ্টন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জোর দেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যাদেরকে পুর্নবাসন করার কথা তারাই বাড়িঘরগুলোতে উঠতে পারছে কি না, অন্য কেউ এসে নিয়ম না মেনে অসাধু উপায়ে উঠে পড়ছে কি না এগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। ভবন তো টাকা দিলেই নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু যে লক্ষ্যে ভবন নির্মাণ করতে চাচ্ছি সেটা পূরণ না হলে তো এসবের কোনো অর্থ নেই।

প্রকল্পের একটি জমি ২০১৭ সাল থেকে বেক্সিমকো গ্রুপ দখলে রেখেছে বলেও সংশ্লিষ্টরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এটি নিয়ে আদালতের রায় হওয়ার কথা রয়েছে।


পরিদর্শনকালে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। তারা জানান, প্রকল্পের ৮২ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ আগামী বছরের ডিসেম্বরের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হবে।

আগামী ঈদ নিজ দেশে করবে রোহিঙ্গারা, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

এই ঈদে না হোক আগামী ঈদ রোহিঙ্গারা নিজের দেশেই করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারেন সে লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাথে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।

রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে দোয়া গরি সাম্মর বার যেন অনরা নিজর বাড়িত যাইয়ারে ঈদ গরিত পারন।


ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, মায়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরাতে সারা দুনিয়ার সঙ্গে প্রয়োজনে লড়াই করতে হবে। ঈদে মানুষ আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত করে। রোহিঙ্গাদের সেই সুযোগও নেই।

লাখো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানসহ দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।