ধানমন্ডি ৩২ ছাত্র-জনতার ভাংচুর 
আর্কাইভ | ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৩ রমজান ১৪৪৬ ০২:০০:২৫ পূর্বাহ্ন
Photo
স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা
ঢাকা, প্রকাশিতঃ
০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
০৯:৪১:০২ পূর্বাহ্ন

ধানমন্ডি ৩২ ছাত্র-জনতার ভাংচুর 


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ফেসবুক স্ট্যাটাসে একটি মন্তব্যে অনেকটাই স্পষ্ট ছিল কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণের ঘোষণায় তৈরি হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে পাল্টা ঘোষণা দেওয়া হয়- ‘বুলডোজার মিছিলের’। 

এরপর বুধবার রাত ৮টায় কর্মসূচি থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে সেখানে জড়ো হতে থাকেন ছাত্র-জনতা। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সেখানে জড়ো হয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। রাত ৮টা ৩২ মিনিটের কিছু আগে ৩২ নম্বরের ওই বাড়িতে ছাত্র-জনতার ঢল নামে। একপর্যায় হাতুড়ি-শাবল দিয়ে গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে শত শত ছাত্র-জনতা। ঘরির কাটায় ৮টা ৩২ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ভাঙচুর শুরু হয়। ৩২ নম্বরের বাড়িতে প্রবেশের মুখে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়। রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ভবনের তৃতীয় তলার একটি জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

অনেকেই দিচ্ছে মুহুমুর্হু স্লোগান। পুরো বিল্ডিংটির অবকাঠামোই ভেঙে ফেলা হচ্ছে। যদিও গত ৫ আগস্ট এক দফা ৩২  নম্বরের এই বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল। তখন তেমন একটা ক্ষতি না হলেও এবার বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ৩২ নম্বর বাড়ি গুড়িয়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়। বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা বলছেন, যারা ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল সেসব ফ্যাসিবাদীদের কোনো চিহ্ন বাংলাদেশের মাটিতে রাখতে চাই না। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে তার শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এ সময় উত্তেজিত ছাত্র-জনতাকে, ‘খুনি আসলে লাইভে, জনতা যাবে ৩২ এ’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। 

এরআগে সন্ধায়  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে লেখেন, ‘রাতে দেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে’। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্র্বতী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে লেখেন -‘উৎসব হোক!’ এর আগে হাসনাত আবদুল্লাহ এক বক্তব্যে বলেন, আমরা হাসিনা চ্যাপ্টার, ছাত্রলীগ চ্যাপ্টার ৫ আগস্ট ক্লোজ করে দিয়েছি। ৫ আগস্টের পর ফ্যাসিবাদবিরোধী যে দলগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আমাদের মতের পার্থক্য হবে, রাজনৈতিক মতপার্থক্য হবে, বিভাজন থাকবে। কিন্তু এক জায়গায় স্পষ্ট, হাসিনা ও ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন কোনোভাবে এ দেশে হতে দেওয়া হবে না। হাসনাত আবদুল্লাহর স্ট্যাটাসের পর  ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিমুখে মিছিল কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে অনেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। কেউ লিখেছেন, ‘থাকবে না- ফ্যাসিবাদের আঁতুড়ঘর ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার থাকবে না’। এছাড়া বুলডোজার মিছিলের একটি পোস্টারে ছেয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।