ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক দফতর সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ জাফর ইকবাল এর গ্রামের বাড়ীতে নির্মাণাধীন ঘরের জিনিসপত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে এই ঘটনা ঘটে। একইদিন তার চাচার ঘরেরও কয়েকটি থাই জানালাও খুলে নিয়ে যায় চোরের দল। এই ঘটনায় থানায় জিডি করা হবে।
অভিযোগে প্রকাশ, ফেনী জেলার সদর থানাধীন ধলিয়া ইউনিয়নে চুরি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বিশেষ করে দৌলতপুর গ্রামে প্রায় প্রতিদিনই চুরি হচ্ছে। গত কয়েকদিনে এলাকায় বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ দেখা দিলেও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিছুই জানেন না বলে জানান।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে এলাকার দিনমজুর কালা মিয়ার দুটি হালের গরু চোরের দল নিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালেও চোরদের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি।
গরু চুরির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গতকাল দৌলতপুর গ্রামের কলিমউদ্দিন মুন্সি বাড়িতে ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটে। সোমবার দিবাগত রাতে এই বাড়ির মৃত মুন্সি এবিএম ইয়াহিয়া বাহার মিয়ার নির্মাণাধীন ঘরের জিনিসপত্র চোরের দল নিয়ে যায়। ভিকটিম পরিবারের সদস্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ জাফর ইকবাল জানান, সোমবার দিবাগত রাতে তাদের নির্মাণাধীন ঘরের জন্য চাদের উপরে থাকা কয়েক বান্ডিল রড চোরের দল নিয়ে যায়।
এ সময় ঘরের নিচ তলায় তার ছোট ভাই ও তার স্ত্রী ছিলেন। বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি হবার কারণে তারা কিছুই টের পায়নি। একই দিন পাশে থাকা তার চাচার বিল্ডিং এর কয়েকটি থাই জানালা খুলে নিয়ে যায় চোরের দল। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছে, স্থানীয় কোনো প্রভাবশালীর ইন্ধনে এসব হচ্ছে। এভাবে একের পর চুরির ঘটনা ঘটলেও কেউ ধরা না পড়াটা খুবই সন্দেহের বিষয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মুন্সি এ প্রতিবদেককে বলেন, তিনি গরুর চুরির বিষয়টি শুনেছেন। কিন্তু দৌলতপুর গ্রামের কলিমউদ্দিন মুন্সি বাড়িতে এমন ভয়াবহ চুরির ঘটনা তিনি জানেন না। তিনি বলেন, গ্রাম্য পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। তারপরও কিভাবে একের পর এক চুরি হচ্ছে তিনি সেটি বুঝতে পারছেন না। তিনি এই চুরির ঘটনাতে তার ব্যর্থতা হিসেবে মানতে নারাজ। তিনি বলেন, আমি মেম্বারকে বিষয়টি খোঁজ নিতে বলছি।