কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার একটি সড়ক থেকে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা ছয় রোহিঙ্গাকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শুক্রবার রাতে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উলুবনিয়া এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মঞ্জুরুল ইসলাম শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল ২১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফরোয়াজ, মোহাম্মদ জোহার, মোহাম্মদ নুর, নুরুল হক, জাহিদ হোসেন ও মোহাম্মদ ইদ্রিস।
সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা শিবির সংলগ্ন এলাকায় অপহরণের ঘটনা বেড়ে গেছে। এসব অপহরণের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের একটি সশস্ত্র অংশ জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, থেকে গত চার মাসে টেকনাফে ৩৫ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। সবশেষ ৭ জানুয়ারি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকার ক্ষেত থেকে চার কৃষককে অপহরণ করা হয়। তাদের পরিবার অভিযোগ করে, এর পেছনে রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীরা রয়েছে। তিন দিন পর ১০ জানুয়ারি তিন কৃষক এবং ১১ জানুয়ারি আরও কৃষক মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসে বলে তাদের পরিবারের বরাতে জানান হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এর এক সপ্তাহের মাথায় আবার ছয় রোহিঙ্গাকে অপহরণের তথ্য সামনে এল।
অপহৃতদের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে এএসপি মঞ্জুরুল বলেন, শুক্রবার রাতে ক্যাম্প থেকে ছয় রোহিঙ্গা কাজের জন্য বের হন। তারা কাঁটাতারে ঘেরা ক্যাম্পের চোরাই পথ দিয়ে বের হয় হয়ে শহীদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়কের (কক্সবাজার-টেকনাফ) উঠেন। এক পর্যায়ে উলুবনিয়া স্টেশনে পৌঁছার আগেই অটোরিকশায় একদল দুর্বৃত্ত এসে অস্ত্রের মুখে তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাদের টেকনাফের হ্নীলা এলাকার পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ রাতেই অপহৃতদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সকালে অপহৃত তিনজনের স্বজনের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অপহৃতদের উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান মঞ্জুরুল। তিনি আরও জানান, অপহরণের ঘটনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে ঘটেছে। তাই ক্যাম্পের বাইরে অভিযান চালাতে আমাদের অনুমতি প্রয়োজন হয়। ##