স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশিতঃ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৩৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
অদ্ভুত আপত্তি!

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে তামিম ইকবালের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে অদ্ভুত আপত্তিপত্র জমা পড়েছে। ওল্ড ডিওএইচএস থেকে কাউন্সিলরশিপ পাওয়া তামিমের বিপক্ষে সাবেক ক্রিকেটার হালিম শাহর সই করা আপত্তিপত্র নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করেছে। এদিকে তামিমের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে কোনো আপত্তিপত্র দেননি বলে জানিয়েছেন কানাডাপ্রবাসী হালিম। তিনি এখন বাংলাদেশে। বিসিবির পরিচালক, মিডিয়া ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান কাউন্সিলরশিপই পাননি। নির্বাচন কমিশনে প্রায় ৩০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। বুধবার মিরপুর স্টেডিয়ামে ইফতেখারের মতো কাউন্সিলরশিপ-বঞ্চিত সংগঠকরা অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। আজ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আপত্তির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সিদ্ধান্ত পক্ষে না এলে আপত্তিকারীরা পরের ধাপে এগোবেন। ৬ অক্টোবর বিসিবির নির্বাচন।


বোর্ডের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন কমিশন ১৫ ক্লাবকে কাউন্সিলর পদ দেয়নি। বাদ পড়েছে ছয় জেলাও। ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাব থেকে তামিমের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে আপত্তিপত্রে বলা হয়েছে, আইসিসি স্বীকৃত ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর না নেওয়ায় বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তামিম কাউন্সিলর হতে পারেন না। অথচ,

তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আগেই। আপত্তিপত্রে আরও বলা হয়েছে, তিনি ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের কেউ নন এবং তাকে ক্লাবের কাউন্সিলর করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বাস্তবতা হলো, তামিম এই ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক এবং তাকে কাউন্সিলর করা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ক্লাবটির সভাপতি খালেদ মাহমুদ। এদিকে দেরিতে কাউন্সিলরশিপ জমা দেওয়ার অভিযোগ এনে সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের বিপক্ষে আবেদন পড়েছে ১০টি।

সাবেক পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া কাউন্সিলরশিপ না পেয়ে সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন। জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলরদের মধ্যে বাগেরহাট, রাজশাহী, ফেনী, নড়াইলসহ অধিকাংশ জেলার কাউন্সিলর কোনো ক্রীড়া সংগঠক বা খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত নন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে ১৫ ক্লাবের বিপক্ষে দুদকের তদন্ত হয়েছে। তবে তারা নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। বিসিবির সভায় ১৫ ক্লাবকে কাউন্সিলরশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অথচ, এখতিয়ারে না থাকলেও নির্বাচন কমিশন ওই ১৫ ক্লাবকে কাউন্সিলরশিপ দেয়নি। অভিযোগ আছে, বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামের ইঙ্গিতেই এসব হচ্ছে। তাকে সমর্থন দিচ্ছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। কোয়াবের নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ইফতেখার। পরিচালক পরিচয়ে নয়, বঞ্চিত হিসাবে তিনি বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করছি। ৪০ বছর আমি ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত, এমনটা কখনো দেখিনি। ন্যায্য সুযোগ চাই। আমার দোষ থাকলে আমাকে বাদ দিন। পরিচালক হলেও নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।’

লোকমান হোসেন বলেন, ‘এখন সব কিছু সম্পূর্ণ নিয়মের বাইরে হচ্ছে। বোর্ডে যেটা পাশ হবে, সেটাই ফাইনাল।’ আপত্তি জমা দিতে এসে দীর্ঘদিনের ক্রীড়া সংগঠক সৈয়দ বোরহানুল হোসেন জানালেন তার কয়েকদিনের ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা। তাকে মিথ্যা অভিযোগে জেলেও যেতে হয়েছে। ঢাকা ক্লাব অরগানাইজার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব সৈয়দ বোরহানুল হোসেন বলেন, ‘ব্লুস ক্রিকেটার্স, গোল্ডেন ঈগল স্পোর্টিং ক্লাব, ঢাকা রেঞ্জার্স ক্রিকেট একাডেমি ও স্পার্টনস ক্রিকেট ক্লাবের বেআইনি কমিটির অন্তর্ভুক্তি বাতিলপূর্বক অনুমোদিত কার্যনির্বাহী কমিটিকে পুনরায় বহাল রাখতে অভিযোগ দিয়েছি আমরা।’


উপদেষ্টা সম্পাদক : এন, ইউ, বিশ্বাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফোরকান হোসেন

৪৯/১/এ, পুরানা পল্টন লেন, চতুর্থ তলা, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১৩১৮০০৪৪
ইমেইল: akhonbangla24@gmail.com