
প্রথম আলোকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, প্রথম আলো ঈদের মতো একটি পবিত্র ইবাদতকেও কটাক্ষ করতে দ্বিধা করে নাই।
সোমবার দুপুরের পর নিজের ভ্যারিফাইড পেজে স্টাট্যাস দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। তার স্ট্যাটারে পর নববর্ষের দিনেও আলোচানর শীর্ষে ছিলো বিষয়টি।
তিনি বলেন, প্রথম আলোর গত ৩০ মার্চের পত্রিকায় ঈদ শুভেচ্ছার কার্টুনে কুকুরের ছবি ব্যবহার করেছে। পত্রিকাটা এর আগেও মহানবী (ﷺ)-কে অবমাননায় বায়তুল মোকাররমের খতিবের হাত ধরে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান সম্পাদক মতিউর রহমান।
জামায়াত আমীর আরও বলেন, মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি খুবই জঘন্য। প্রথম আলো ঈদের মত একটি পবিত্র ইবাদাতকেও কঠাক্ষ করতে দ্বিধা করে নাই। তা অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে এবং জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
অল্প সময়ের মধ্যে জামায়াত আমীরের পোস্টে লাইক পড়ে ২৩ হাজারের বেশি। কমেন্ট পড়ে চার হাজারের বেশি। আর শেয়ারও হয়েছে ৩ হাজারের বেশি।
শফিকুর রহমানের কমেন্টে মেহিদি হাসান নামের একজন লেখেন, আপনাকে ধন্যবাদ "প্রথম আলো " বিপক্ষে প্রতিবাদ করার জন্য।
এমডি ইবরাহিম নামের একজন বলেন, এ ব্যাপারে সঠিক তদন্ত করে শাস্তির দাবি করছি।
এদিকে আরিক হোসাইন নামের একজন লেখেন, আজকের এই দিনে Dr. Shafiqur Rahman স্যার কিংবা তার দলের পক্ষ থেকে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কোনো উল্লেখযোগ্য বার্তা দেখিনি। অথচ ঈদের একটি কার্টুন পোস্ট নিয়ে তিনি স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এই বৈসাদৃশ্য কিছুটা বিস্ময় জাগায়। জাতীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে নীরবতা, আরেকটি সংস্কৃতির প্রতি পক্ষপাতমূলক মনোভাবের ইঙ্গিত দেয় না কি?
আমি আশা করি, যারা দেশ গঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বা ভবিষ্যতে দিতে চান, তারা জাতির ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উভয় ঐতিহ্যের প্রতিই সমান শ্রদ্ধাশীল হবেন। কারণ, এই দেশ শুধু মুসলমানদের নয়, শুধু বাঙালিদেরও নয়—এটি একটি বহুস্তরীয় জাতি, যার শিকড় প্রোথিত আছে গভীর সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের বৈচিত্র্যে। আমার জানার ভুল ভ্রান্তি হলে ক্ষমা করবেন।
২০০৭ সালে ধর্ম অবমাননার কারণে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা উবায়দুল হকের হাত ধরে প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থনা ও তওবা করেন মতিউর রহমান। তওবা করে বলেছিলেন ‘ধর্মে আঘাত আসে এমন কিছু আর কখনোই করবেন না।