
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, আইএমএফ প্রতিনিধি দল মনে করছে যে, দেশের অর্থনীতি বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে ও সঠিক পথেই এগোচ্ছে।
রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
আইএমএফ-এর মিশন প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছে এবং তারা ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের আগে হালনাগাদ আর্থিক তথ্য পর্যালোচনার জন্য আলোচনা শুরু করেছেন।
প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- ঢাকায় আইএমএফ-এর আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে ও জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ সিওকহিউন ইউন।
ড. সালেহউদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ শিগগিরই আইএমএফ-এর ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে পাবে। উল্লেখ্য, মোট ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় ইতোমধ্যে তিনটি কিস্তি ছাড় হয়েছে।
আইএমএফ দল কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি, খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধার ও ব্যাংকিং খাতে সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
আইএমএফ প্রতিনিধি দল অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
পরিদর্শন শেষে ১৭ এপ্রিল অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে একটি চূড়ান্ত বৈঠক ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আইএমএফ মিশন শেষ হবে।
মার্কিন শুল্কের প্রভাব সামাল দেওয়া কঠিন নয় : অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত নতুন শুল্কারোপে অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়বে, তা সামাল দেওয়া কঠিন হবে না।
ঢাকা, ৬ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) :
তিনি বলেন, ‘সরকার শুল্কের বিষয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত নতুন শুল্কের কারণে অর্থনীতির ওপর যে প্রভাব পড়বে, তা সামাল দেওয়া কঠিন হবে না। আমরা আশাবাদী এর থেকে ভালো কিছু বেরিয়ে আসবে।’
ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে অর্থ উপদেষ্টা একথা বলেন।
এতদিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। গত ২ এপ্রিল ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, রমজান ও ঈদের সময় পণ্যের দাম স্থিতিশীল ছিল, যা জনসাধারণকে স্বস্তি দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘এবার মানুষের ঈদ ভালো কেটেছে। মার্চ মাসে দেশে ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেড়েছে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।’