দুয়ারে ঈদুল ফিতর। ঈদে নতুন ফ্রিজ কিনতে ক্রেতারা ছুটছেন ইলেকট্রনিক্সের শোরুমে। বিশেষ করে সেরা দামে সেরা মানের পছন্দের ফ্রিজ কিনতে দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের শোরুমে ভিড় করছেন ক্রেতারা। ব্যাপক ক্রেতা সমাগমে দেশব্যাপী ওয়ালটন শোরুমগুলোতে পড়েছে ফ্রিজ কেনার হিড়িক। শোরুমের বিক্রয় প্রতিনিধিরাও এই বাড়তি ক্রেতা সমাগম ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছেন।
ওয়ালটন ফ্রিজের সাশ্রয়ী দাম, উচ্চ গুণগত মানের পাশাপাশি সর্বোচ্চ বিক্রয়োত্তর সুবিধা থাকায় ঈদের আগে শোরুমগুলোতে ফ্রিজ বিক্রির উৎসব চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বাগেরহাট, বগুড়া, সিলেট, ফেনী, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়োজিত ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার, পরিবেশক ও অঞ্চল প্রধানরা।
তারা জানান, ঈদ উপলক্ষে ‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানো সারাদেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এই সিজনেও ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। ইতোমধ্যে সিজন-২০ এ ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩ জন ক্রেতা। তাই ঈদ উৎসবে ক্রেতা পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন ফ্রিজ।
ওয়ালটন ফ্রিজের ডেপুটি চিফ বিজনেস অফিসার আনিসুর রহমান মল্লিক জানান, সার্বিক বিবেচনায় এবারের ঈদে ফ্রিজ বিক্রির জন্য সময়টা খুব ভালো যাচ্ছে। ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে আশাতীত। করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদি প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে চলতি বছরে ব্যবসায়ে স্বাভাবিক ধারা ফিরে এসেছে। তাই এবছর ঈদকে ঘিরে ফ্রিজের বাজার বেশ চাঙ্গা। প্রতিবছরের মতো এই ঈদেও ফ্রিজের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য ওয়ালটনের। এরইমধ্যে ঈদে আমাদের ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। সার্বিকভাবে বলা চলে ঈদের আগমুহুর্তে দেশব্যাপী ওয়ালটনের শোরুমগুলোতে চলছে ফ্রিজ বিক্রির ধূম।
তিনি বলেন, দেশের সিংহভাগ ক্রেতার আস্থা এখন ওয়ালটন ফ্রিজে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজে অ্যাডভান্সড আইওটি, ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির পাশাপাশি বিশ্বের সর্বাধুনিক ফিচারের ব্যবহার। আমরা গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছি। তাই ঈদ উৎসবে পছন্দের ওয়ালটন ফ্রিজ কিনতে শোরুমগুলোতে ক্রেতা ভিড় বেড়েছে ব্যাপকহারে।
ঈদ বাজারে সকল শ্রেণী, পেশা ও আয়ের ক্রেতাদের জন্য ওয়ালটনের রয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের ৩ শতাধিক মডেলের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার। এসব মডেলের সহস্রাধিক কালারের ফ্রিজ রয়েছে। এসব ফ্রিজের দাম ১৫ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে। আছে জিরো ইন্টারেস্টে ৬ মাসের সহজ কিস্তিসহ সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের কিস্তি সুবিধা।
ওয়ালটনের ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি এবং ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবার সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা। গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে ওয়ালটনের রয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সার্ভিস এক্সপার্টস টিম ও আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় দেশব্যাপী বিস্তৃত ৮০টিরও অধিক সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহকদের সবচেয়ে কম সময়ে সর্বোচ্চ লেভেলের বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করা হচ্ছে।